সেনাবাহিনীর অবস’রপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হ’ত্যা’র ঘটনার বিবরণ জানতে ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলালকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে র্যাব।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে রি’মান্ডে থাকা মূল ৩ আসামিকে নিয়ে মেরিন ড্রাইভ রোডের টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কাছে সিনহা হ’ত্যার ঘটনা স্থলে যায় র্যাব। এসময় র্যাবের মা’মলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩১ জুলাই সিনহাকে হ’ত্যার সময় কার কী ভূমিকা ছিল তা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হ’ত্যা মা’মলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলামও আ’সামিদের বক্তব্য অনুসারে ঘটনার রেকি করেন এবং সচিত্র বর্ণনা তুলে ধরেন।
রিমান্ডে থাকা টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিবরণ তুলে ধরেন। এই তিন আ’সামিকে গত ১৮ আগস্ট কক্সবাজার জেলা কা’রাগার থেকে ৭ দিনের রি’মান্ডে র্যাবের হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার প্রধান আ’সামিদের রি’মান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া বক্তব্যের সঙ্গে আলামতগুলো মিলিয়ে দেখতে এ প্রক্রিয়া বলে দাবি করেছেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার।
তিনি বলেন, এমন কী ঘটনা ঘটল যে সিনহাকে এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে গু’লি করা হলো। এই প্রশ্নের উত্তর জানতে প্রধান তিন আ’সামিকে ঘটনাস্থলে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোনো কথা ছাড়াই পরপর লিয়াকত কেন ১ মিনিটের মধ্যে ৪টি গু’লি করল তা মেলাতে মূলত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল আরো বলেন, যেহেতু এটি একটি স্পর্শ’কাতর মাম’লা তাই তদন্তের স্বার্থে চাইলেও সব বলা সম্ভব না। সুতরাং বাকিটা পরে জানানো হবে বলে সাংবাদিকদের তিনি জানান।